বাংলার ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে মাওলানা ভাসানীর নাম

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভারতীও উপমহাদেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা বহু নেতাকে দেখব। কিন্তু মাওলানা ভাসানীর মতো বিকল্প নেতাকে পাব না, হামিদ খান তার সারা জীবন কাজ করে গেছেন বিপ্লবী ও মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আপসহীনভাবে তার মত এমন নিস্বার্থ নেতা বাংলার ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নাই।
তাঁর মতো মানুষের জন্য মৃত্যুটা সত্য নয় তিনি বেচে থাকবেন নামুষের মনে ও ভালোবাসায় চির জীবন। মাওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। এই সব স্বাধীনতা বিরোধীরা এই চেষ্টা করবেই। কিন্তু মাওলানা কখনোই মুছে যাবেন না। কারণ ভাসানী মানের বাংলাদেশ। যত দিন এদেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রাম আছে, তত দিন মাওলানা থাকবেন। এই দেশ ও দেশের ইতিহাস যদি থাকে, সেখানে মাওলানা ভাসানী থাকবেন। তাঁকে কিছুতেই মুছে ফেলা যাবে না যতই চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হোক। তিনি রবেন গরীব ও মেহনতি মানুষের হৃদয়ে।
মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে থাকা নানা সমালোচনারও জবাব দেন অধ্যাপক সিরাজুল। তিনি বলেন, চক্রান্তকারীরা মাওলানা ভাসানীকে রহস্যময় লোক বলেন। মাওলানা নাকি স্বাধীনতার পরা শক্তি পাকিস্তান সরকারের টাকায় চীন সফরে গিয়েছিলেন। কিন্ত তিনি চীনে গিয়েছিলেন চীন সরকারের আহ্বানে তাদের অতিথি হিসেবে। আইয়ুব খান ক্ষমতায় এসে প্রথমে যাঁদের গ্রেপ্তার করেছিল, তাঁদের মধ্যে মাওলানা ছিলেন এবং তিনি ৪ বছর কারাবন্ধী ছিলেন। বেরিয়ে এসে আবার সেই আন্দোলন শুরু করেছিলেন। এই যে নানান রকম কথা হয়, এগুলো দিয়ে তাঁকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। আসল সত্য হলো মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রামে তিনি ছিলেন। এমন মহান নেতা আর দ্বিতীয়টি আসবেনা এই বাংলায়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম প্রমুখ।