৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, মলদ্বার ও যোনিপথ ছিড়ে রক্তক্ষরনে শিশুটির মৃত্যু!!

দিন বদলে বদলে যাচ্ছে দেশ, বদলে যাচ্ছে সমাজ কিন্তু বদলাচ্ছে না শুধু বিকৃত মস্তিষ্কের কিছু মানুষ। কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ সুযোগ পেলেই তাদের কাম বাসনা মিটানোর জন্য ছোট বড় কোন বাদ বিচার ছাড়াই ঝাপিয়ে পড়ে। এদের জন্যই আমাদের শ্যামল বাংলা বিশ্ব দরবারে লজ্জায় মাথা নোয়াছে বহুবার।
টাঙ্গাইলে ৮ বছরের শিশু আছিয়া জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেল।
ধর্ষণের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোররাতে শিশুটি ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় সবাইকে কাঁদিয়ে এ পৃথিবী থেকে চলে যায়।
এদিকে আছিয়ার লাশ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আনার পর সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শিশুটিকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসেন শতশত মানুষ। এমন এক ফুটফুটে শিশুর মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কেউ। যে শিশুর দুরন্তপনার মেতে থাকতো পুরো বাড়ি।আজ সেই বাড়িতেই তার নিিথর দেহটি শুয়ে আছে মাটিতে।
আছিয়া (৮) টাঙ্গাইলের মালতী গ্রামের দিনমজুর আশরাফ আলীর মেয়ে। গত ৮ অক্টোবর শিশুটিকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের তায়েজ উদ্দিনের বখাটে ছেলে মাহবুব (১৫)। সে এর আগেও মেয়েদের উত্তক্ত করতো বলে জানা যায়।
জানা গেছে, ধর্ষক মাহবুব চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে আছিয়াকে ডেকে নিয়ে যায় তাদের ফাকা বাড়িতে। পরে একটি ঘরে নিয়ে তাকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে।
এতে আছিয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার আরো অবনতি হলে শিশুটিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আছিয়ার বাবা আশরাফ আলী বাদী হয়ে একই বখাটে মাহবুবকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতার পরিবার। তাদের নানাভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকে।
শিশু আছিয়ার নানা বলেন, ঢাকায় আত্মীয়র বাসায় হটাৎ আছিয়ার ভোররাতের দিকে প্রচন্ড ব্যাথ্যায় ছটফট করতে থাকে। ওকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতলে কর্মরত চিকিৎসক বায়েজিদ বলেন, সে সময় ধর্ষণের ফলে শিশুটির ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। মলদ্বার ও যৌনাঙ্গ ছিড়ে গিয়ে এক হয়ে যায়। এতে আটটি সেলাই করার পরও তার শারীরিক অবনতি হলে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অত:পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবাইলে কাদিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢ্লে পড়েন ৮ বছরের ছোট্ট শিশু আছিয়া।
কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় না। না পড়লে চরম মিস, ক্লিক করুন
কালিহাতী থানার অফিসার মোশারফ হোসেন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় পর ধর্ষক মাহবুবকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালতে পাঠানো হয়। আসামী স্বীকার করেছে সেই এ ধর্ষণ কান্ড ঘটিয়েছে।
এলাকাবাসী ধর্ষনের দ্রুত ও যথাযথ বিচার দাবি করেন।এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আসামী মাহবুবের উপযুক্ত শাস্তি হলেই আছিয়ার আত্মা শান্তি পাবে। তিনি আরো বলেন ধর্ষণ নামক এই ভয়াবহ ব্যাধি সমাজ থেকে নির্মূল করতে হবে।