৬৫ লাখ টাকা প্রতি লিটার পানির দাম, যা নিতা আম্বানি পান করে!!

এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ধনীর সংখ্যা বেশি ভারতে। দিন কে দিন তাদের সম্পদের পরিমাণ বাড়ছেই। এ করোনার মধ্যেও রিলাইস গ্রুপ এ চেয়ারম্যান মুখেশ আম্বানির সম্পদ বেড়েছে ১৫০.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুতরাং রাজকীয় জীবন যাপন তো তাদের পরিবারের সদস্যদেরই মানায়। সম্প্রতি জানা গেছে নিতা আম্বানির যে পানি পান করেন সে পানি নাকি প্রতি লিটারের দাম ৬৫ লাখ টাকা!!
আমরা যেসব পানি কিনে পান করি সেই পানি ১ লিটারের দাম কতো হবে? ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সেই পানির দাম দিতেই আমাদের খুব কষ্ট হয়ে যায় কিন্তু রিলায়্যান্সের মালিক মুকেশ আম্বানীর স্ত্রী নীতা আম্বানী যে পানি পান করেন, তার দাম শুনলে আশ্চর্য হবেন নিশ্চিত।
দাবি করা হয়, নীতা আম্বানি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পানি পান করেন। ৭৫০ মিঃ লিঃ পানির বোতলের দাম প্রায় ৬০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫২ লক্ষ টাকা। তা হলে এবার হিসেব করে দেখেন, নীতার এক ঢোক পানির দাম কত পড়ে!
দাম না হয় জানলেন। দাম জানার পর আপনি বলতে পারেন এই পানি কি স্বর্ণ নাকি হিরা দিয়ে তৈরি? নাহলে এতো দাম কেন?
তাহলে আমাদের জানা উচিৎ এই পানির কেন এত দাম। স্বাস্থ্যকে তরতাজা রাখতে যে পানি নীতা পান করেন তার নাম ‘অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো মদিগ্লিয়ানি’। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি পানির মধ্যে একটি। বোতলজাত ওই পানি আসে ফ্রান্স এবং ফিজি থেকে। দাবি করা হয়, এই পানি স্বর্ণভস্ম মিশ্রিত। ৫ গ্রাম স্বর্ণভস্ম থাকে এতে। যা মানবদেহের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। সে জন্যই এই পানির দাম লক্ষ লক্ষ টাকা। এই পানি বোতল জাত করা অনেক ব্যয় বহুল। হিরার চেয়েও অনেক দামি। যা বিশ্বের গোটা কয়েক মানুষ পান করে।
আরও কারণ আছে। শুধু পানি নয়, বোতলের জন্যও এই পানীয় জলের দাম এত বেশি। ২০১০ সালে ‘অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মদিগ্লিয়ানি’ গিনেস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি পানির বোতল হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিল। বোতলের নকশা তৈরি করেছিলেন ফার্নান্দো আলতামিরানো। চামড়ার খাপে থাকে ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি এই বোতল। এই ব্র্যান্ডের সবচেয়ে সস্তা বোতলের দাম ২৫ হাজার টাকা। এবার ভাবুন মাসে বা বছরে তার কত টাকার পানি লাগে!! আসলে বিলাসিতা তো তাদেরই মানায়।