পেয়াজের বাজারে আগুন!!

পেঁয়াজের বাজার ফের গরম হয়ে উঠেছে ।উর্ধগতিতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে চলছে ভারতেও।আর সেই কারণেই পেঁয়াজ বাজার খুব চড়া হয়েছে। গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে পাইকারীতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে দশ টাকা করে বেড়েছে। ক্রেতাদের কথা হচ্ছে, বছরের শেষের দিকে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়া তেমন নতুন কিছু নয়। গত বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সংকটের অজুহাত দেখিয়ে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। সরকার দেশি পেঁয়াজ চাষীদের পেঁয়াজ চাষে উদ্বুব্ধ না করলে পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিনদিনের ব্যবধানের ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে দশ টাকা করে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৩ টাকায়। তাছাড়াও মায়ানমারে পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে সাত টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের বুকিং দর বাড়ার কারণে পেঁয়াজের বাজার আবার অস্থির হতে শুরু করেছে। এছাড়া বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহও কিছুটা কমে গেছে। পেঁয়াজ অনেক বেশি পচে যায় । পেঁয়াজের বাজারে তাই কৃত্রিম সংকট করার সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের আমাদের দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের ঘোষণা পর পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। তখন ব্যবসায়ীরা মায়ানমার, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার অনেকটা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে। ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। তারপর দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বি-শতক ছাড়িয়ে যায় প্রতি কেজিতে। এরপর আবার স্বাভাবিক ছিলো অনেক দিন পেঁয়াজের বাজার। কিন্তু এখন আবার সেই সংকটের আভাস কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে।