নিজের পুত্র বধূকে ঘুমের ঔষধ খায়িয়ে ধর্ষণ করলো শশুর

প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সুযোগ পেলেই যে কেউই যাকে খুশি তাকেই ধর্ষণ করতে ছাড়ছে না।মানছে না সম্পর্কের কোনো বাধবিচার। বাবা পর্যন্ত নিজের মেয়েকেও রেহাই দিচ্ছে না।এমনই এক ঘটনা ঘটলো কুমিল্লার বিষ্ণুপুর এলাকায়। নিজের ছেলের বউকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করলো শশুর। এই ঘটনার পরে শশুর এর নামে মামলা করে পুত্রবধূ।কিন্তু শশুর জামিন পাওয়ার পরেই আবার পুত্রবধূকে হত্যার চেষ্টা করেন।
পরবর্তীতে সেই মহিলা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঐ এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুপুর এর বাচ্চু মিয়া রুমি ,তার ছেলে বু’দ্ধি প্রতিব’ন্ধি নূরুল ইসলামের সাথে ২০১৯ সালে অন্য গ্রামের একটি মেয়ের বিয়ে হয়। ছেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে নানা সময় বাচ্চু মিয়া পুত্রবধূকে খারাপ প্রস্তাব দেয়।
পুত্রবধূ তার এই প্রস্তাবে রাজি না হলে,বাচ্চু মিয়া প্লান করে তাকে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পুত্রবধূকে খাইয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করেন।অনেকবার এই ঘটনা ঘটার পর অবশেষে পুত্রবধূ বুঝতে পেরে সে তার শাশুড়ী কে পুরা ঘটনা খুলে বলেন।
এই ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অন্য এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামীকে নিয়ে সেখানেই থাকেন।কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি ঐ নারীর। গত বছরেও বাচ্চু মিয়া মাঝরাতে সেই ভাড়া বাড়িতে গিয়ে জোর করে আবারও ধর্ষণ করে তার পুত্রবধূকে। সে সময় পুত্রবধূ চিৎকার করে এবং এলাকাবাসী এসে বাচ্চু মিয়াকে ধরে নিয়ে যায়।ঐ নারী কুমিল্লা আদালতে সম্পুর্ন সরকারের খরচে আইনগত সহায়তা কেন্দ্রের দ্বারা আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে বাচ্চু মিয়াকে আটক করে পুলিশ।কিন্তু বর্তমানে বাচ্চু মিয়া জামিনে বের হয়ে এসে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য কিছু লোক ঐ নারীকে হুমকি প্রদান করে থাকে। কিছুদিন আগে ঐ নারী বাজারে বাজার করতে গেলে বাচ্চু মিয়া তার উপর হামলা করে। তখন স্থানীয়রা সেই নারীকে উদ্ধার করেন।এই ঘটনা ঘটার পর ঐ নারী আবার থানায় ডায়েরি করেন।
বাচ্চু মিয়া ও তার দলবল মিলে সেই নারীকে হত্যার করার জন্য চেষ্টা করছে বলে যানায় ঐ নারী।যতক্ষণ পর্যন্ত মামলা তুলে নেওয়া না হবে তার এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হত্যার হুমকি দেয় বাচ্চু মিয়া।সেই নারী এখন সম্পুর্ন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং সে সব দিক দিয়েই অনেক অসচ্ছল বলে জানায় তার আইনজীবী তাহমিনা বেগম। সেই জন্য তার সকল খরচ সরকার বহন করবে।এছাড়াও আইনজীবী বলেন আসামি জামিনে যেয়ে ঐ নারীকে হত্যার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে।তাই তারা আদালতের কাছে আসামির জামিন বাতিল করার জন্য আবেদন করবেন।এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানার কর্মকর্তা বলেন মামলা টি তারা তদন্ত করে অপরাধী দের বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট এরই মধ্যে আদালতে দেওয়া হয়েছে।বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা। খুব তাড়াতাড়ি আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।