দুই গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা দায়ে আজ রাত ১১টায় কালু ও আজিজের ফাঁসি কার্যকর

ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড এ আইন বাংলাদেশ এ অনেক আগেই করা হয়েছে। সেই রায়ের ই বাস্তব বাস্তবায়ন হলো আজ রাত ১১ টায় কালু ও আজিজের ফাসি কার্যকর এর মাধ্যমে।
চুয়াডাঙ্গার গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দণ্ডিত আসামি কালু (৪৯) ও আজিজুল হক ওরফে আজিজের (৫২) ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে আজ সোমবার ৪ অক্টোবর ২০২১ রাত ১১ টায়।
তাদের ফাসি কার্যকর হয়েছে রাত ১১টায় তাদের দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার জেলার।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে যশোর কারা কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিল। গত শনিবার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামির সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করেছে দেওয়া হয়েছিল তাদের পরিবারের সদস্যদের। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেষবারের মত তার প্রিয়জনকে দেখে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দূরের এক মাঠে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাদের দুজনকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলাকাটা হয় ওই দুই গৃহবধূকে। এ ঘটনায় নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম খুনের পর দিন আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ২ জনসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়। অন্য ২ জন হলেন, একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আসামি মহি মারা যান।
এদিকে ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুজন, কালু ও আজিজের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের রায় দেন। এরপর আসামিপক্ষের লোকজন হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট আসামি পক্ষের রায় বাতিল করে নিম্ন আদালতের রায়কে বহাল রাখেন।
২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজন প্রাণ ভিক্ষা চান মহামান্য রাষ্ট্রপতি কাছে, তার অপরাধ বিবেচনা করে তাকে বেকসুর খালাস দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালু ও আজিজ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান, কিন্তু তা নামঞ্জুর হয়। ফাসির রায় বহাল রাখেন।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন খান বলেন, ‘দুই আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের পর লাশ তার পরিবার এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা।