মহানবী (সঃ)কে কটুক্তি ও ব্যঙ্গচিত্র অংকনকারী লার্স ভিল্ক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত

পৃথিবীর সর্বশেষ্ঠ মানব, সমগ্র মানব জাতির পথ প্রদর্শক ও হেদায়েতের সুসংবাদ নিয়ে তিনি দুনিয়াতে এসেছিলেন। মহাবনী (সঃ) মুসলমানদের কাছেই প্রিয় ছিলেন না অমুসলিমদের কাছেও সমান জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু সুইডেনের কার্টুনিস্ট লার্স ভিল্কস মুহাম্মদ (সঃ) ব্যঙ্গচিত্র আর্ট করে নিন্দিত হয়েছেন বিশ্বব্যাপী। বিশ্ব মুসলমানরা তাকে নিন্দার সাথে বর্জন করেছ। এই মহামানবকে নিয়ে কটুক্তি করেছে আর সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে কোন গজব আসবে না তাকি হয়।
হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র আঁকা সুইডিশ কার্টুনিস্ট লার্স ভিল্কস এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। সুইডেন গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
লার্স ভিল্কস সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মার্কারিড শহরের কাছাকাছি স্থানে একটি পুলিশের গাড়িতে থাকা অবস্থায় একটি ট্রাকের সঙ্গে গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন এবং ট্রাকচালক আহত হন।
৭৫ বছর বয়সী ভিল্কস মহানবী (স.)-এর কার্টুন আঁকার ঘটনায় বিশ্ব মুসলমান এর তীব্র নিন্দা জানান এতে তার জীবন হুমকির মুখে পরে যায়। তাই তিনি পুলিশি নিরাপত্তায় বসবাস ও চলাফেরা করতেন।যাতে কেউ তার উপর আক্রমণ না করতে পারে।
২০০৭ সালে কার্টুনটি প্রকাশের ঘটনায় বহু ধর্মপ্রাণ মুসলমান ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা মহানবী (স.)-এর চাক্ষুষ উপস্থাপনাকে ইসলামের অবমাননা হিসেবে গণ্য করেন।
প্রথমে ডেনমার্কের একটি সংবাদপত্র মহানবী (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের ঠিক ১ বছর পর লার্স ভিল্কসের কার্টুনটি প্রকাশিত হয়। তিনি বিশ্ব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই এ জঘন্য কাজটি করেছে।
সুইডিস পুলিশ এখনো ঘটনায় নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে, ভিল্কসের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু স্থানীয় একটি পত্রিকায় তাঁর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কীভাবে কার্টুনিস্ট ভিল্কসকে বহনকারী গাড়ি ও ট্রাকের সংঘর্ষ হলো, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সংঘর্ষের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত নেই।
ভিল্কস কার্টুনটি প্রকাশের পর তুমুল ক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে সুইডেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডরিক রেইনফেল্টকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ২২টি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হয়। তবুও মুসলিম দেশ গুলো সুইডেনের সকল পণ্য বর্জন করে এর প্রতিবাদ জানায়। মুসলমানদের উপর এতো বড় ধর্মীয় আঘাত আর ২য় টি আসেনি, কার্টুনিস্ট লার্স ভিল্কস যে আঘাত করেছে।
ওই বৈঠকের কিছুক্ষণ পরে সশস্ত্র সংগঠন আল-কায়েদা ভিল্কসকে হত্যার জন্য এক লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দেয়। বিশ্ব মুসলমানরা তার মৃত্যুদন্ড দাবি করেছিলেন কিন্তু সুইডেন প্রেসিডেন্ট নীরব ভুমিকা পালন করেছিলেন।
সেই দিন বিশ্ব মুসলমানরা আল্লাহ প্রতি এর আপরাধের বিচার চেয়ে ছিলেন। বিচার আজ ঠিকই পেলো ভয়ানক সড়ক দুর্ঘটনায় মধ্য দিয়ে। কার্টুনিস্ট লার্স ভিল্কস মৃত্যুর সংবাদে মুসলমানরা উল্লাস প্রকাশ করেছে। এক ঘৃণ মানুষের অধ্যায় এর পরিসমাপ্তি ঘটলো।