ভালোবাসার টানে রাজ-প্রাসাদ ছাড়লেন জাপানের রাজ-কুমারী

অবশেষে রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে জাপানের রাজকুমারী মাকো তেই কোমেরোকেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন। পরিচয় ২০১২ সালে ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনার সময় তার পর প্রেম কিন্তু বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেই বাধে যত ঝামেলা।
হাজার ১৯৪৭ সালের সংবিধান অনুযায়ী যদি রাজ-পরিবারের কোন কন্যা সাধারণ মানুষকে বিয়ে করে তাহলে তাকে রাজকীয় সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। কিন্তু রাজকুমারী মাকো সকল রাজকীয় সুযোগ-সুবিধার তোয়াক্কা না করে বিয়ে করতে যাচ্ছেন কলেজ সহপাঠীকেই এমনকি রাজ-প্রাসাদ ছাড়ার সময় যে এককালীন ভাতা পাওয়া যায় সেটি নিতেও তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন যা প্রায় ১৩ লক্ষ মার্কিন ডলার!
যদি মাকো বিয়ের সিদ্ধান্তে অটল থাকে তাহলে এটাই হবে যুদ্ধপরবর্তী জাপানের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সবকিছু ছাপিয়ে তারা এখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রেমিক কুমোড়ো যুক্তরাষ্ট্রে একটি ল ফার্মে চাকরি করেন। বিয়ের পর তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে ২০১৭ সালে তারা বাগদান সম্পূর্ণ করেন কিন্তু কুমোড়োর পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কারণে বিয়ে পিছিয়ে যায়। কুমড়ো কে বিয়ের সাথে সাথে রাজকুমারীকে ছাড়তে হবে রাজপ্রাসাদ এবং হারাতে হবে রাজকীয় উপাধি। বিয়ের সাথে সাথে রাজকূমারীকে দিতে হবে সরকারি কর, হারাবেন রাজকীয় সকল সুযোগ সুবিধা এমনকি তাঁর সন্তানেরাও রাজপরিবারের কেউ বলে বিবেচিত হবেন না।
জাপানের রাজপরিবার ছাড়ার ঘটনা এই প্রথম নয় ২০০৫ সালে মাকোর ফুপু এক সাধারন মানুষকে বিয়ে করে ছেড়েছিলেন রাজ-প্রাসাদ। রাজকুমারী মাকোও ফুপুর পথ অনুসরণ করলেন। প্রকৃত ভালোবাসা এমনই যেখানে রাজ্য সুখও বিষন্ন মনে হয়। জয় হোক ভালোবাসার জয় হোক মানবিকতার।