লাইভে এসে ওবায়দুল কাদেরকে মিথ্যুক বললেন ছোট ভাই কাদের মির্জা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জা আপন সহোদর হলেও দুই ভাই কেউ কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলেন না। সুযোগ পেলেই কথার ফাদে এক হাত দেখিয়ে দেব বিশেষ করে কাদের মির্জা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সারা দিন মিথ্যা কথা বলেন, তার কথাবার্তার কোন ঠিক-ঠিকানা নাই বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর ছোট ভাই মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। ২ মাস আগে তাঁর কাছে করা ওয়াদার একটিও ওবায়দুল কাদের পূরণ করেননি বলেও অভিযোগ কাদের মির্জার।
গত শুক্রবার ১লা অক্টোবর ২০২১ সকালে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন। প্রায় ২১ মিনিট লাইভে তিনি বড় ভাই ওবায়দুল কাদের, ভাবি ইশরাতুন্নেসা কাদেরসহ বিভিন্নজনের বিষয়ে কথা বলেন। ইশরাতুন্নেসার নির্দেশে পুলিশ খালের জায়গার অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে বাধার সৃষ্টি করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আর বলেন আমার ভাই তার বউর কথা অনুযায়ী চলেন। তিনি তার বউর অনেক বাজে সিদ্ধান্তও মেনে নিয়েছেন এবং তা বাস্তবায়ন করেছেন।
কাদের মির্জা বলেন, ‘পুলিশের প্রতি অনুরোধ করব। আপনারা সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের অভিযানে বাধার সৃষ্টি করবেন না কারও টাকা খেয়ে। এগুলো বন্ধ করেন। নিরপেক্ষ থাকেন।’ আপনারা জনগনের টাকায় চলেন, আপনারা কেন তাহলে জনগণের বিপক্ষে কাজ করেন। যাদেরটা খান তাদের সাথে বেইমানি করবেন না।
জেলা পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে কাদের মির্জা বলেন, ‘এসপি সাহেব ও ওসি সাহেব কত কত টাকা খেয়েছেন? বলেন, সব ওপরের নির্দেশ। ওপরে কি ওবায়দুল কাদের সাহেব নাকি তার স্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন? ওবায়দুল সাহেব তো সারা দিন মিথ্যা কথা বলেন। উনি তো মিথ্যুক। আমার কাছে ২ মাস আগে যে ওয়াদা তিনি করেছেন, একটাও পূরণ হয়নি। আর তাঁর স্ত্রী দুর্নীতিবাজ ইশরাতুন্নেসা কাদেরের নির্দেশে আজ পুলিশ খালের জায়গার অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে। এতো বউর কথা শুনবেন না, নাহলে একদিন জনগণের মুখোমুখি দাড়াতে হবে, সেদিন পালানোর পথ পাবেন না।
বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘আপনি কী মনে করছেন? আপ্নেরে বুড়াকালে কি ভিমরতি ধরছে? আপনি যা করছেন এগুলো করলে কোম্পানিগঞ্জের মানুষ আপনার কবর রচনা করবে আগামী নির্বাচনে।
আগামী নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগও পাবেন না। আপনার কবিরহাটেও আমরা অনুরূপ পরিবেশের সৃষ্টি করব। এগুলোর জবাব পরবর্তী নির্বাচনে আপনাকে দিতে হবে। পার পাওয়ার সুযোগ নেই।’ সময় থাকতে ভালো হয়ে যান।