নিজেকে জীবিত প্রমান করতে সরকারি অফিসে দৌড়া- দৌড়ি এক ব্যক্তির

বংংলাদেশে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার সাক্ষী হতে হয় গণমাধ্যম ব্যক্তিদের। সরকারের ভালো পদক্ষেপ গুলো মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে পারলে ভালোই লাগে কিন্তু কিছু স্বার্থবাজ মানুষের কারণে সরকারের অগ্রযাত্রা ও সাফল্য ডাকা পরে যায়।
মানিকগঞ্জ এ এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে দেখানো হয়েছে চেয়ারম্যানের সনদ অনুযায়ী ৪ মাস আগে মৃত্যু হয়েছে শফিকুল ইসলামের(৬২)। এ কারণে বন্ধ হয়েছে তার সরকার কর্তৃক অনুদান বয়স্কভাতা। অথচ শফিকুল ইসলাম দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কাজ করছেন মাঠে। মৃত্যু ঘোষণা হওয়ার পর তার বয়স্কভাতা বন্ধ হয়ে যায়। তাই এ অসহায় লোকটা নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে ঘুরছেন সরকারের বিভিন্ন দফতরে।
মানিকগঞ্জের নবগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শফিকুল ইসলাম (৬২) ওই ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার শারমিন বেগমের স্বামী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম শুক্রবার ১ অক্টোবর ২০২১ বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলাল উদ্দিন, স্ত্রী শারমিন বেগম ও ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ খানকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ তিনি একটি ঋন উত্তোলনের জন্য শিবালয় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে যান। এ সময় অফিসের কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসার জানান, তার নামের ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সে কয়েক মাস আগে মারা গেছেন। তিনি যে মারা যান নি প্রমাণ হিসেবে শিবালয় উপজেলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিনের স্বাক্ষরিত মৃত্যু সনদ দেখানো হয়।
মৃত্যু সনদে উল্লেখ আছে, ৮ নং ইউপি সদস্যের সুপারিশে এই সনদ দেয়া হলো।এই মৃত্যু সনদের কারণে তার বয়স্ক ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানতে পারেন তিনি।
তিনি বলেন, তার স্ত্রী মহিলা মেম্বার শারমিন বেগম দীর্ঘ দিন ধরে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাড়ি ছাড়া। এই সুযোগে চেয়ারম্যান ও আরেক ইউপি সদস্যের সাথে যোগসাজসে তাকে মৃত বানিয়ে সম্পত্তি আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন। ফলস্বরূপ গত ২৬ মে অসুস্থ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন মর্মে সনদ দিয়েছেন। কোন দেশে আমরা বসবাস করি, এখানে ২ মিনিটে জীবিত মানুষ কে মৃত্যু লরতে পারে।
তিনি আরও সরকারী ভাতা যা পাই তা দিয়েই আমি জীবন নির্বাহ করি। আমাকে কৌশলে ভাতা থেকে সরিয়ে দিতেই মৃত্যুর নাটক।
তিনি আরও বলেন ‘আমি জীবিত আর আমাকে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে কেন মৃত্যু দেখানো হলো আমি এর বিচার চাই। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। আমি মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির জানান, শফিকুল ইসলামকে জীবিত অবস্থায় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সরযন্ত্র করে এ ঘৃণ্য কাজটি করেছে। এবং এ ভুয়া মত্যু সনদ দিয়েছেন। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কারো কাছে জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।