মৃত্যুর পর গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ স্বীকৃতি পেলেন রানি

সাভারের আশুলিয়ায় একটি খামারে বেড়ে ওঠা বামন গরু রানিকে নিয়ে আলোচনার যেন শেষ নেই। মৃত্যুর পরও রানি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। গিনেস বুকে বিশ্বের সবচাইতে ছোট গরুর স্বীকৃতি পেতে যাওয়া রানি বেঁচে থাকতে ছিল সেলিব্রেটি। দেশ ছাড়িয়ে রানিকে নিয়ে খবর আসে বিশ্ব মিডিয়ায়। কিন্তু হঠাৎ খবর আসে রানির মৃত্যুর। তারপর শুরু হয় আবারও আলোচনা। এই রেশ শেষ না হতেই এবার মরে যাওয়া রানিকে স্বীকৃতি দিলো গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ। রানিই বিশ্বের সব চেয়ে খর্বকার গরু ছিল।
সোমবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ রাতে সাভারে চারিগ্রাম এলাকার শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সিইও মো. আবু সুফিয়ান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তাকে ই-মেইলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানান।
আবু সুফিয়ান বলেন, ‘ওদের (গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ) কাছে আমরা রানির পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম। ওরা মূলত দেখেছে, আমরা হরমোন জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে রানিকে বামন করেছিলাম কি না? কিন্তু এ ধরণের কোন কিছু তারা রিপোর্টে পায়নি । তাই তারা রানিকে বিশ্ব সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। গত ৩ দিন আগে ওরা রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু ওদের প্রসেসের কারণে বিলম্ব হয়েছে। আমাদের ই-মেইল বিষয় টি নিশ্চিত করেছে আজ।
তিনি আরও বলেন, ‘রানি আমাদের সবার অনেক আদরের ছিল। প্রাণি হলেও রানিকে আমরা পরিবারের একজন করে নিয়েছিলাম। কিন্তু গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে যখন রানির নাম উঠতে আর কিছুদিন বাকি, তখন আমরা ওকে হারিয়েছি।
রানির মৃত্যু কোনভাবেই ওই সময় মেনে নিতে পারিনি আমরা। আমরা সবায় ভেঙ্গে পড়েছিলাম। তবে অবশেষে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ তাদের প্রসিডিউর অনুযায়ীই রানিকে বিশ্বের সবচাইতে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা সত্যিই অনেক বেশি আনন্দিত। তবে রানি বেঁচে থাকলে এই আনন্দের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যেতো। আজও আমরা রানির শূন্যতার অনুভব করি।