৮ বছরের বালককে আটকে রেখে ধর্ষণ, অতপর তরুণীর ২০ বছরের সাজা

ছাত্রদের দেখেশুনে রাখার দায়িত্বে থাকা নারীর হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিল এক ৮ বছরের ছাত্র। ৩ বছর আগের ওই ঘটনায় সেই নারীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ একটি বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত মামলাটিতে ওই তরুণীকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১৫ হাজার টাকার জরিমানা করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণীর বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। একটি বিশেষ আদালত মামলাটিতে ওই তরুণীকে (৩০) দোষী সাব্যস্ত করে। ২০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে তাকে।
অভিযুক্ত ওই তরুণী বালক শাখার প্রাইমারি স্কুলে কেয়ার টেকার হিসেবে চাকরি করতেন। স্থানীয় ভাষায় এই পদকে বলা হয় আয়া। অর্থাৎ আয়া-মা।
২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বরে ওই স্কুলের এক ছাত্রের বাবা সেই আয়াম্মার বিরুদ্ধেই যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনেন। অভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন, তার ছেলেকে নিয়মিত যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় স্কুলে এই কেয়ারটেকার তরুণী দ্বারা।
অভিযোগে বলা হয়, স্কুলের আয়াম্মা ওই ছাত্রকে গোপনে ডেকে আদর করতেন এমনকি ছাত্রটির যৌনাঙ্গ স্পর্শও করতেন। ব্যথা পেয়ে ছাত্রটি প্রতিবাদ জানালে তাকে মারধরও করতেন ওই তরুণী। অভিযোগে তরুণীকে বিকৃত মানসিকতার বলে উল্লেখ করেছিলেন ছাত্রের বাবা।
ওই ছাত্রের বাবা আরও বলেন, ‘ছেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রশ্ন করতেই ওই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানায় সে।’ ছাত্রটিকে ওই তরুণী সিগারেটের ছ্যাঁকাও দিতেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ছাত্রের বাবা। চারবছর পর সেই মামলার নিষ্পত্তি হয় বৃহস্পতিবার। ছাত্রের বাবা তরুণীর কঠোর শাস্তি দাবী করেন।
বিশেষ শুনানিতে বৃহস্পতিবার ওই মামলায় তরুণীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ
আইনে দোষী সাব্যস্ত তরুণীকে ২০ বছরের হাজতবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বালকের বাবা।