আফগানিস্তানে চুরি করলে কেটে ফেলা হবে হাতঃ তালেবান

তালেবান সরকার আফগান দখলের পর থেকে দেশকে নতুন ভাবে উপস্থাপন করার কাজে নিয়োজিত আছে। দেশকে ইসলামী আদর্শে পরিচালনা করার লক্ষ্যে চালু কএক ছেন শরিয়াহ আইন। তারা গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন চুরি ও অবৈধ সম্পর্কে জড়ালে কি সারা দেওয়া হবে । চুরি করলে হাত কাটা হবে এবং অবৈধ সম্পর্কের জন্য শাস্তিস্বরূপ পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার বিধান জারি করছে তালেবান সরকার।
মুহম্মদ ইউসুফ নামে এক তালেবান নেতা জানিয়েছেন, ইসলামি নিয়ম নীতি মেনেই অপরাধের শাস্তি হবে এখন থেকে। কেউ খুন করলে তা যদি ইচ্ছাকৃত হয়, তবে তাকেও হত্যা করা হবে, কিন্তু খুনটা ইচ্ছাকৃত না হলে আর্থিক জরিমানা দিয়ে রেহাই পেতে পারে সে। মোট কথা কোরআন ও সুন্নাহ আলোকে চলবে দেশ।
তালেবানরা কঠোর নয়, তারা আল্লাহের দ্বীন কে দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করতে চান মুলত ইসলামের সেবা করাই তাদের উদ্দেশ্য। সেজন্য তারা এগুলো দেখা শুনার জন্যে গঠন করেছে অপরাধ দমন মন্ত্রণালয়। আফগানিস্তানের সেন্ট্রাল জোনের ভারপ্রাপ্ত এ নেতা চুরির শাস্তি হবে চোরের দুটো হাত কেটে নেয়া, যারা ‘অবৈধ যৌন সম্পর্ক’ করবে, তাদের পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হবে। এধরনের শাস্তি, বেআইনি যৌন সম্পর্কে জড়ানো নারী, পুরুষ দুজনকেই ভোগ করতে হবে। নতুন এ আইন সকল কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এমন মামলায় সাজা ঘোষণার জন্য ৪ জন সাক্ষী লাগবে। তাদের বক্তব্য হুবহু একই রকম হতে হবে। ৪ জনের ভাষ্যে সামান্য অদলবদল হলে কোনও শাস্তি হবে না। কিন্তু সব সাক্ষীই একই কথা বললে, ঘটনার সময়কাল সবাই একই বলে জানালে সাজা হবে। সুপ্রিম কোর্ট এসব নিয়ে মাথা ঘামাবে না। ওরা দোষী ঘোষিত হলে আমরা শাস্তি দেব। দোষ প্রমানিত হলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে সে যত বড় ক্ষমতাবানই হোক না কেন।
০২ দশক আগের তালিবান শাসনে অপরাধ দমন মন্ত্রণালয়ের বাড়াবাড়ি চরম পৌঁছেছিল, মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। আফগানিস্তানের রাস্তায় দিনেদুপুরে তারা ইসলামি রীতিনীতি ভাঙার দায়ে দোষীদের চাবুক মারত, পাথর ছুঁড়ত, হাত-পা কেটে নিত, এমনকী অপরাধের মাত্রা বিচার করে জনসমক্ষে ফাঁসিও দিত। কিন্তু এখন তারা অনেক টা সহনশীল আচরণ করছে। তবে বরাবর ই তারা আইন ভঙ্গকারীর জন্য কোঠর।