আরো ৬ মাসের জামিন পেলেন খালেদা জিয়া, তবে চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমনে আছে নিষেধাজ্ঞা

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক ৪ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো ০৬ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এবং আগামি ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে আরোও ০৬ মাসের জামিন কার্যকর হবে।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার আরো ০৬ মাস মুক্তির ক্ষেত্রে আগে যেসব শর্ত ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।

তিনি আরোও  বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল। তাদের আবেদনের বিষয়টি মানবিক দৃস্টিকোণ বিবেচনা করে  কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আবেদনে অনুমোদন দিয়েছেন। মমতাময়ী শেখ হাসিনা আরো ০৬ মাসের জামিন দিতে হাই কোর্টকে বিশেষ অনুরোধ করেছেন।

‘এর আগে আইন মন্ত্রণালয়ও ০৬ মাস বাড়ানোর জন্য আইনগত সুপারিশ করেছিল। মহামারী করোনার কারণে গত ছয় মাস খালেদা জিয়ার পরিবার তার কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এই বিবেচনায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরো ০৬ মাস বাড়ানো হয়েছে’ বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল।

গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরো ০৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়। শর্ত দেয়া হয়-খালেদা জিয়া এই সময়ে বিদেশে যেতে পারবেন না হয় সেটা চিকিৎসার জন্যও না। বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। আজ প্রধানমন্ত্রী এই আবেদন অনুমোদন দেয়ায় আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে আরো ০৬ মাসের জন্য মুক্ত জীবন যাপন করবেন খালেদা জিয়া।

আইনমন্ত্রী বলেন হাসানুল হক বলেন, খালেদা জিয়া একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সুতরাং তাকে যদি বিদেশ গমন করতে হয় তবে তাকে আবার জেলে গিয়ে আবেদন করতে হবে। নতুবা তার বিদেশ গমন করা আইনের লঙ্গন হবে।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপাসন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্ররুয়ারী থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। পরে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন তিনি। প্রায় ২ বছ্র সাজা খাটার পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। যার মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তার আগে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার তার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ালো। তবে বিদেশ  গমনে আছে নিষেধাজ্ঞা ।

#www.capitalpost.xyz

#www.capitalpost.xyz

#www.capitalpost.xyz

#www.capitalpost.xyz

#www.capitalpost.xyz