যাদের উদ্দেশ্যে হাতে লিখেছিলেন “ফাক মি মোর” তার ব্যাখ্যা দিলেন পরিমনি নিজেই

অশ্লীল ও অস্বাভাবিক বার্তা ‘…ক মি মোর’ যার অর্থ বাংলায় দাঁড়ায় “আমাকে …. কর” যাদের উদ্দেশ্যে লিখেছন তার ব্যাখ্যা দিলেন পরীমণি নিজেই। আদালত প্রাঙ্গণে গাড়ির উপরের হুড খুলে সিটের উপর দাঁড়িয়ে ভক্তদের হাত নারিয়ে স্যালুট ও সালাম জানানোর সময় মেহেদিতে লেখা সেই বার্তাটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
যথারীতি এই বার্তা নিয়েও চলছে ভক্ত-সমালোচকদের মধ্যে চুল-চেরা বিশ্লেষণ। উঠেছে নতুন গুঞ্জন। বর্তমানে পরিমনি মানেই নতুন কিছুর খবরের সৃস্টি। তার হাতের লিখাটি যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রমেই ভাইরাল হচ্ছে। কিন্তু এবারের ‘…ক মি মোর’ স্লোগানের ব্যাখ্যা আর মেলানো যাচ্ছে না। কারণ, আগের স্লোগান ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’-এর সঙ্গে এবারেরটি বেশ বিপরীত। কিন্তু পরিমনি ভক্তদের সকল গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে নিজেই দিয়েছেন ব্যাখ্যা।
এবারের বার্তাটি প্রসঙ্গে আজ বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ পরীমণির সঙ্গে কথা হয় দেশের প্রথম সারির একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের। ওই পোর্টালটির প্রতিবেদককে দেয়া সাক্ষাৎকারে পরীমণি বলেন, “আমার কষ্ট লাগছে এখন। অনেকেই আমার বার্তাটি ঠিক বুঝতে পারছেন না বা বোধগম্য হয়নি, সবাই আমাকে ভুল বুঝছেন। সবাই ভাবছেন আমি লিখেছি ‘লাভ মি মোর’। আসলে তো আমি লিখেছি ‘…ক (গালি) মি মোর’।’’ আমাকে ভালোবাস্তে বলিনি কাউকে।
কিন্তু কেন এই বার্তা? এখন তো সবই আপনার অনুকূলে। কার উদ্দেশে এটি বলেছেন? জবাবে পরীমণি বলেন, ‘যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চায় বা ঘাটতে আসে, তাদের সবাইকে আমি ওয়েলকাম করছি। আসো। ওয়েলকাম। আমি প্রস্তুত তোমাদের সঙ্গে এই খেলায় অংশ নিতে। দম যতদিন আছে, আমি শেষ অবধি এই খেলায় লড়ে যাবো। আসো এবার খেলা হবে। আমি আমার হেটার্সদের উদ্দেশ্যে এ বার্তাটি লিখেছি।
আগের স্লোগান ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ সম্পর্কে পরী তখনই বলেছিলেন, ‘এই স্লোগান তাদের উদ্দেশে, যারা সামনে একরকম, পেছনে অন্যরকম। যারা বহুরূপী- তাদের জন্য এই বার্তা দিয়েছি।’ আমি জেলে থাকা অবস্থায় অনেক মানুষ কে চিনেছি, যারেদ আমি খুব পছন্দ করতাম কিন্তু এ স মানুষ গুলোর বিপরীত রুপ আমি দেখেছি জেলে থাকা অবস্থায়। তাদের উদ্দেশ্যে ছিলো প্রথম বার্তাটি।
বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ আদালতে হাজিরা দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্র-নায়িকা পরীমণি। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে বেলা ১২ টায় উপস্থিত হোন।
এদিন আদালত চত্বরে প্রবেশের সময় গাড়িতে দাঁড়িয়ে ভক্তদের অভিবাদন জানান পরীমনি। সেই সময় তার হাতের তালুতে মেহেদি রঙে লেখা ‘রহস্যময়’ বার্তা চোখে পড়ে। যেখানে লেখা, ‘… মি মোর’।
এবারের আদালত কেমন লাগলো, আবার কবে হাজিরা। এসব প্রশ্নের জবাবে পরীমণি ওই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আদালত এখন আমার ভালোই লাগে। এখন তো সয়ে গেছে। আদালত এখন বাড়ির মত হয়ে গেছে আমার। দ্বিতীয় হাজিরার ডেট ১০ অক্টোবর ২০২১।
কথা প্রসঙ্গে পরী বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি সর্দি-জ্বরে ভুগছেন। ডেঙ্গু-করোনার টেস্ট করিয়েও কোনও পজিটিভ ফল পাননি। বলেন, ‘টানা ৫টা দিন বিছানায় পড়ে ছিলাম। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ আদালতে গিয়ে একটু ভালো লাগছে। বিশেষ করে আমার ভক্তদের দেখে।
নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে পরীমণি আজ নিজেই হাজতখানার গেট দিয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় পুলিশ ও তার কিছু আত্মীয় হাজতখানার ভেতরে প্রবেশ করেন।
হাজিরা দেওয়ার সময় পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জ তার (পরীমণির) সাদা রঙের গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য জব্দ হওয়া জিনিসপত্র চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
গত ৪ আগস্ট মাঝ রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। আটকের পর তাদের নেয়া হয় র্যাব সদর দপ্তরে। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করে। দীর্ঘ ১৯ দিন জেল খেটে জামিনে বের হন পরিমনি।
১ সেপ্টেম্বর ২৭ দিনের জেল ও রিমান্ড-জীবন কাটিয়ে জামিনে মুক্ত হন পরীমণি। সম্প্রতি এই নায়িকা ফিরেছেন শুটিং-ডাবিংয়ের কাজেও। চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন নতুন সিনেমায়। সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন, আইনি লড়াই শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার।
#capital news.bd
#capital news.bd
#capital news.bd
#capital news.bd
#capital news.bd
#capital news.bd