বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেপ্তার

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ মহামান্য আদালত এ রায় দেন।
পিপি দেলোয়ার হোসেনের দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ গোপালগঞ্জের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরিফুল রহমান এ পরোয়ানা জারি করেন বলে জানা যায়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও দলের ২১ নেতাকর্মীসহ গোপালগঞ্জ জজ কোর্টের পিপি দেলোয়ার এবং তার বাবা হাসেম সরদারের নাম উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তাদের রাজাকার, পাকিস্তানি দোসর ও যুদ্ধাপরাধী বলেন তিনি। তার দায়ের করা মামলায় রিজভীর বিরুদ্বে এ গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট দেলোয়ার বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মিথ্যা অপ্রচার ছড়ানোর দায়ে মামলা হয় রিজভীর বিরুদ্বে।
মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে দেয় আদালত সিআইডি দুই বছর এক মাস তদন্ত করে মানহানি মামলায় ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই দিনই কবির রিজভীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শরিফুল রহমান রুহুল। সমনে হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার বাদী ও সরকারী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার বলেন, রুহুল কবীর রিজভী মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তার বাবা এবং নিজের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এজন্য তিনি রিজভীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। রিজভীকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। যে কোন সময় তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন।