ভারত আমাদের পরম বন্ধু রাষ্ট্র, বি এন পির উচিৎ জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়াঃ ওবায়দুল কাদের

ভারত সরকার বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু কিনা নিয়ে জল্পনা কল্পনা আছে অনেক সাধারণ মানুষের মধ্যে কিন্তু বাংলাদেশের অনেক রাজনীতিবিধ আছেন যারা ভারত সরকারের ঘোর বিরোধী আবার কেউ পরম বন্ধু মনে করেন ভারতকে। এখন প্রশ্ন হলো ভারত বাংলাদেশকে কি মনে করে এদিক দিয়ে ভারত বরাবর ই প্রশ্নবিব্দ। ভারতের অধিকাংশ কর্মকান্ড ই বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান করেছে। যদিও মাঝে মাঝে কিছু ভালো কাজ করেছে কিন্তু তা খারাপের তুলনায় খুবিয় নগন্য।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ,পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবের মুখে শুনা গেল ভারত বন্দনা তিনি বলেন ভারত সরকার কথা দিয়েছে, সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটবে না। তারা এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে বলে আমরা আশা করি। সোমবার ২০২১ নিজ বাসভবনে প্রেস কনফারেন্স এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেতাদের সীমান্ত নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ভুলে গেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। বিএনপির আমলে সীমান্ত ছিলো আর উত্তাল। বিএনপি বরাবর ই ছিলো উদাসীন ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে যা তাদের সময়ে দেশবাসী দেখেছেন। বিএনপির মুখে ভারত বিরোধিতার কথা মানায় না, আমাদের সরকার ভারতকে আবার ও বন্ধু রাষ্টে পরিনত করতে সক্ষ্ম হয়েছ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে নাই ভবিষতেও করবে না। এ সরকারকে কেউ আর চায় না। তাদের উচিৎ জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়া। বাংলার জনগন তাদের আর ক্ষমা করবে না।
তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুর সঙ্গে হাত মেলায়, তারা কখনও সার্বভৌমত্বের রক্ষক হতে পারে না। তাদের কাছে দেশ সেভ না।
শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও কূটনৈতিক দক্ষতায় বহু বছরের পুরনো ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত সমস্যা আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে কোনো সমস্যার সমাধান তো করতে পারেইনি, বরং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দেয়াল তুলেছে।
‘শেখ হাসিনা সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে তৈরি করেছে সম্পর্কের সেতুবন্ধ। একের পর এক বিজয় অর্জন শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে।
সাধারণ সম্পাদক কাদের সাহেব আরও বলেন, সীমান্ত সমস্যাকে জিরোতে নামিয়ে এনেছেন আওয়ামী লীগ সরকার। অপর দিকে বিএনপি যারা ভারত সফরে গিয়ে পানি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন, ভারতে সরকার পরিবর্তনের পর যারা ভারতীয় দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের দিয়ে দেশের আর কী হতে পারে?
আওয়ামী লীগের হাতেই এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত সরকার কথা দিয়েছে সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না। তারা সব সময় শেখ হাসিনা সরকারের সাথে আছেন
ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করে বলেন, ভারত সরকার এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। যা ভবিষতে বাংলার জনগন দেখবে।