আবার জেলে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবিএম জাহিদ হোসেন একথা জানান তিনি খুবই অসুস্থ, তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
খালেদা জিয়া গত ১১ই এপ্রিল ২০২১ কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হন এবং শুরুতে বাসায় চিকিৎসা নিলেও গত ২৮ শে এপ্রিল ২০২১ তাকে ঢাকার
এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে যেদিন তাকে ভর্তি করা হয়েছিল, সেদিন তাঁর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন যে করোনাভাইরাস থেকে বিএনপির শীর্ষ নেত্রী ভালভাবেই সেরে উঠছেন।
তবে আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিসসহ পুরনো সব জটিল রোগের পরীক্ষার জন্য তাকে কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
পরে বিকেল চারটার দিকে তাকে সে হটাৎ অসুস্থ হলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
একটি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া জেলে ছিলেন। পরে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৪ শে মার্চ ২০২১ শর্ত সাপেক্ষে সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে ৬ মাসের জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। দীর্ঘ ২ বছর জেল খাটার পর মুক্তি পেয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়।
দশ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
১৫ সেপ্টেম্বর তার ৬ মাসের মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার আবারো আদালতের কাছে ৬ মাসের জামিন চান এবং তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে চান কিন্তু আইন মন্ত্রী আনিসুল হক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কোন আসামি বাইরে থেমে জামিনের আবেদন করতে পারে না। তাই তাকে আবারও জেলা গিয়ে জামিনের আবেদন করতে হবে।
যদি আদালত মনে করেন তার জামিন প্রয়োজন তাহলে দিবেন না মনে হলে দিবেন না এটা আদালতের ব্যাপার।