মাত্র ১ মিনিটে জেনে নিন নকল ওষুধ চেনার উপায়

আজ আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো, যে বিষয়ে সবার টুকিটাকি জ্ঞান থাকলে খুব সহজে নকল মেডিসিন সনাক্ত করতে পারি। চলুন মূল পর্বে যাই
এমন কোন বাড়ি নাই যেখানে প্রতি মাসে কিছু না কিছু ওষুধ কেনা হয়। অনেকের বাড়িতে এমন মানুষও আছেন, যাদের বেঁচে থাকাটা অনেকটাই ওষুধ নির্ভরশীল। পাড়ার বা স্থানীয় ওষুধের দোকান বা অনলাইন থেকেও আমরা প্রতিনিয়ত মেডিসিন/ওষুধপত্র কিনি। কিন্তু আমরা যা কিনছি ওই সব ওষুধ নকল কি-না? নকল ওষুধ চেনার ক্ষেত্রে কয়েকটি উপায় আছে যেগুলো অনুসরণ করলে আমরা অনেকটা নিশ্চিত হিতে পারবো মেডিসিন টা নকল কিনা চলুন জেনে নেয়া যাকঃ
১) সিরাপ, লিকুইড এই জাতীয় বোতলজাত ওষুধের ক্ষেত্রে ওষুধের বোতলে সিল বা প্যাকেজিং-এ কোথাও কোনও গলদ আছে কিনা যেমন মোড়কের রং, আকার-আকৃতি, বানান ইত্যাদি সবই দেখে নিতে হবে। প্রথমেই তা ভাল করে দেখে নিতে হবে। কোনও রকম পার্থক্য বা সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লেই ওই ওষুধ ফিরিয়ে দিন বিক্রেতাকে। নকল ওষুধ এ কোন না কোন পার্থক্য থাকবেই যা ভালো ভাবে খেয়াল না করলে সনাক্ত করা সম্ভব নয়।
স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন https://www.facebook.com/101901035547021/posts/112679071135884/
২) ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল জাতীয় ওষুধের ক্ষেত্রে ওষুধের কোথাও কোনও অংশ ভাঙা রয়েছে কি-না, স্বচ্ছ ক্যাপসুলের ভিতরে থাকা ওষুধের গুঁড়ার পরিমাণ আগের তুলনায় কম বা বেশি আছে কি-না, ওষুধের রঙে কোনও ফারাক রয়েছে কি-না তা ভাল করে দেখে নিতে হবে। নকল বড়ি গুলো চাপ দিলে সহজেই ভেঙে যাবে আর আসল ওষুধ থাকে একটু শক্ত যা সহজে গুরো হয় না।
৩) যে কোনও ওষুধের মোড়কের গায়ে তার ‘ইউনিক অথেনটিকেশন কোড’ লেখা থাকে। ওষুধ কেনার পর সেটির সম্পর্কে মনে কোনও রকম সন্দেহ পোষণ করলে ওষুধের ‘ইউনিক অথেনটিকেশন কোড’ ৯৯০১০৯৯০১০ নম্বরে এসএমএস করুন। ওই ওষুধটি যেখানে তৈরি, সেখান থেকে আপনি একটি অথেনটিকেশন মেসেজ পেয়ে যাবেন। মেসেজ পেলে বুজতে পারবেন ওষুধটা আসল নাকি নকল।
এ ছাড়াও, ওষুধ খাওয়ার পর যদি শরীরে অস্বস্তি বা খারাপ লাগা শুরু হয়, দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে সেই ওষুধটি ডাক্তারকে দেখাবেন।
ধন্যবাদ পোস্টেটি পড়ার জন্যে। পেজটি Follow করে আমাদের সংঙ্গে থাকুন।