১ মিনিটে জেনে নিন গাড়ীর নাম্বার প্লেটে যে বর্ণ ও নাম্বার গুলো কি অর্থ বহন করে?

গাড়ির নাম্বার প্লেট ও প্লেটের বর্ণমালা গুলো কি অর্থ বহন করে জানেন কি? না জানলে ২ মিনিটে জেনে নিন।
গাড়ির নাম্বার প্লেট- আমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে, বাইক বা গাড়ির নাম্বার প্লেটের ক, খ, হ, ল ইত্যাদি অক্ষরগুলো কি অর্থে ব্যবহৃত হয়।
BRTA-এর অনুমোদিত সকল যানবাহনে নাম্বারপ্লেট ব্যবহারের নিয়ম চালু হয় ১৯৭৩ সালের আগস্ট মাসে।
আসলে এই নাম্বার প্লেটের বর্ণ মাল ও নাম্বার কি অর্থ বহন করে?
নাম্বারপ্লেট গুলো অনেক মজার তথ্য বহন করে, যা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। জানলে আপনিও মজা পাবেন।
বাংলাদেশের যানবাহনগুলোর নাম্বারপ্লেটের ফরম্যাট হচ্ছে- ‘শহরের নাম-গাড়ির ক্যাটাগরি ক্রম এবং গাড়ির নাম্বার’।
যেমন, ‘ঢাকা মেট্রো য-১১২৫৯৯। এখানে, ‘ঢাকা মেট্রো’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে গাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার অন্তর্ভুক্ত।
‘য’ হচ্ছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়ির চিহ্নকারী বর্ণ। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত সব গাড়ি ‘য’ বর্ণ দ্বারা চিহ্নিত করা হবে। পরবর্তী ‘১১’ হচ্ছে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং ‘২৫৯৯’ হচ্ছে গাড়ির সিরিয়াল নাম্বার কি মজার না ব্যপারটা।
সাধারণত বাংলা বর্নমালার ‘অ, ই, উ, এ, ক, খ, গ, ঘ, জ, ঝ, ত, থ, ঢ, ড, ট, ঠ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, স, হ অক্ষরগুলো ব্যবহার করা হয়। উপরের প্রতিটি বর্ণ আলাদা আলাদা গাড়ির পরিচয় বহন করে।
চলুন জেনে নিই এগুলো দ্বারা কী বুঝায়ঃ–
ক – ৮০০ সিসি প্রাইভেটকার
খ – ১০০০-১৩০০ সিসি প্রাইভেটকার
গ – ১৫০০-১৮০০ সিসি প্রাইভেটকার
ঘ – জীপগাড়ি চ – মাইক্রোবাস
ছ – মাইক্রোবাস / লেগুনা (ভাড়ায় চালিত)
জ – বাস (মিনি)
ঝ – বাস (কোস্টার)
ট – ট্রাক (বড়)
ঠ – ডাবল কেবিন পিকআপ
ড – ট্রাক (মাঝারী)
ন – পিকআপ (ছোট)
প – ট্যাক্যি ক্যাব ভ – ২০০০+ সিসি প্রাইভেটকার
ম – পিকআপ (ডেলিভারী)
দ – সি এন জি (প্রাইভেট)
থ – সি এন জি (ভাড়ায় চালিত)
হ – ৮০-১২৫ সিসি মোটরবাইক
ল – ১৩৫-২০০ সিসি মোটরবাইক
মজার মজার আরও তথ্য পেতে আমাদের পেজটিকে ফলো করুন। ধন্যবাদ