ই-অরেঞ্জের মালিকসহ তিন জনের রিমান্ড মঞ্জর করেছে আদালত

সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন ই-অরেঞ্জের মালিকসহ তিন জনের বিরুব্দে ।
রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামি হলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিও) আমানউল্লাহ আমান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম গত উনিশ অগাস্ট ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। ওইদিন বিচারক রিমান্ড শুনানির জন্য তেইশ (২৩) অগাস্ট দিন ধার্য করেছিলেন।
সোমবার রিমান্ড শুনানিতে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিন বাতিল করে রিমান্ড মঞ্জর করেন।
তাহেরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ১১০০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৭ অগাস্ট গুলশান থানায় ই-অরেঞ্জের পাঁচ মালিক-পরিচালকের সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলা হওয়ার দিনই ‘ই-অরেঞ্জ’ এর মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলায় সোনিয়া, মাসুকুর ও আমানউল্লাহ ছাড়াও বিথী আকতার, কাওসারসহ ‘ই-অরেঞ্জ’ এর সব মালিককে আসামি করা হয়েছে। তবে ওই কোম্পানির মালিকানায় কতজন রয়েছেন, তা উল্লেখ করা হয়নি।
১৮ অগাস্ট রাতে গুলশান এলাকা থেকে আমানউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোনিয়া মেহজাবিনসহ মামলার ৫ আসামির দেশ ত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে আসামিরা পণ্য সরবরাহ না করে এক লাখ গ্রাহকের ১ ১০০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
দীর্ঘ সময় ধরে পণ্য বুঝে না পাওয়ায় এর আগে ১৬ অগাস্ট দিনভর ই-অরেঞ্জের গুলশান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকরা।