সন্তানদের খুজতে বাংলাদেশে এসে হেনেস্তার শিকার জাপানি নারী



বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্বামী শরীফ ইমরানের (৫৮) সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর তার কাছ থেকে নিজের দুই সন্তানকে ফিরে পেতে ঢাকায় এসেছিলেন জাপানি নাগরিক ডা. নাকানো এরিকো। কিন্তু ঢাকায় এসে স্বামীর হৃদয়বিদারক আচরণের শিকার হয়েছেন তিনি। দুই কন্যা শিশুকে নিজের কাছে ফিরে পেতে বাংলাদেশের হাইকোর্টে রিট করেছেন
তিনি। এরিকোর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি আইন অনুসারে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো (৪৬) এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরানের (৫৮) বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তাদের তিনজনকেই টোকিও’র চফো
সিটিতে আমেরিকান স্কুল ইন জাপান (এএসআইজে)-এ ভর্তি করা হয়। সেখানেই তারা পড়ালেখা করছিল। কিন্তু পারিবারিক বিরোধের জেরে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি বিয়ে বিচ্ছেদের জন্য জাপানি আদালতে মামলা করেন এরিকো।কয়েকদিন পর ২১ জানুয়ারি বড় মেয়েকে নিজের সঙ্গে নিতে শরীফ ইমরান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনAdd block
করেন। কিন্তু এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ সে আবেদন খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে বড় দুই মেয়েকে স্কুলবাস থেকে নামিয়ে নিজের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান ইমরান। এরপর বাচ্চাদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের জন্য গত ২৫ জানুয়ারি শরীফ ইমরান আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেন। কিন্তু এরিকো তা প্রত্যাখ্যান করেন।এ অবস্থায়

মেয়ে দুটিকে নিয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।এদিকে টোকিও’র পারিবারিক আদালত গত ৩১ মে এরিকোর জিম্মায় মেয়ে দুটিকে হস্তান্তরের আদেশ দেয়। এ অবস্থায় গত ১৮ জুলাই এরিকো শ্রীলংকা হয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন। ইমরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ইমরান সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাতে অস্বীকৃতি জানান। অবশেষে সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও তা ছিল হৃদয়বিধারক ঘটনা।গত ২৭ জুলাই এরিকোকে চোখ বেঁধে গুলশান থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। এরপর কোনো একটি বাসায় নিয়ে মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয়। সাক্ষাত শেষে আবার চোখ বেঁধে
একই গাড়িতে করে গুলশানে নামিয়ে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় সন্তান দুটিকে আদালতে হাজির করা এবং নিজের জিম্মায় নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশের হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন মা এরিকো।